মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভ্যুত্থানবিরোধীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দেশটির মধ্যাঞ্চলে একটি শহরে এ হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরবর্তী সাগাইং এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বাসিন্দারা একটি প্রশাসনিক অফিস উদ্বোধনে জড়ো হওয়ার সময় সেখানে আকাশপথে হামলা চালানো হয়।
খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মানুষের ভিড়ের ওপর প্রথমে যুদ্ধবিমান, এরপর এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, ভয়াবহ হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। ক্ষমতা দখলের পর এটি সবচেয়ে নৃশংস হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবামাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৫ নারী ও শিশু রয়েছে। তবে বিবিসি তাৎক্ষণিকভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
সাগাইং এলাকা ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাজিগি শহরের ব্যারেজে হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক টনি চেং জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনিক কার্যালয় উদ্বোধনের জন্য জড়ো হওয়ার সময় বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। চেং বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে জড়ো হয়েছিল বাসিন্দারা। সকালে জঙ্গিবিমান দিয়ে আক্রমণ চালায়। এরপর এমআই-৩৫ হেলিক্পটারে।
তার ভাষ্য, হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
২০২১ সালে অং সান সু চি’র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। এরপরই থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন চলছে। ক্ষমতা দখলের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০০ বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা সরকার।